উপজেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জাতিসত্তার তথ্য |
|
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাম ও সংখ্যা |
বাগদী-৫১০ জন, হালদার- ৩৫০ জন |
বসবাসের স্খান |
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পৌরসভার অন্তর্গত চিথলিয়া পাড়া, শুড়া ও হরিণাকুণ্ডু হল বাজার এলাকা। |
||
জাতিসত্তার ইতিহাস |
বাগদী- বাগদী একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। বাগদী বর্গ ক্ষত্রিয় এক প্রকার হিন্দু তফসিলি জাতি বিশেষ। ‘বগদ’ শব্দ থেকে ‘বাগদী’ শব্দটির উৎপত্তি হয় বলে প্রতীয়মান হয়। মালো- আদিবাসী মালোরা এ অঞ্চলে এসেছে ভারতের রাঁচি থেকে। এদের গানেও মিলে তার সত্যতা ‘রাঁচি থেকে আসলো ঘাসী, তারপর হলো আদিবাসী। আবার অনেকেরই ধারণা, বিহারের মালভূমি ও মালই টিলার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিল আছে বলেই এদের মালো নামে ডাকা হয়। |
||
বৈশিষ্ট্য |
বাগদী- এ সম্প্রয়ের মানুষ মাছ-কাঁকড়া-কুইচ্যা-কচ্ছপ-খরগোশ শিকার করে, ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়িয়ে চলে তাদের জীবন। মালো- এ আদিবাসীরা তাদের নামের শেষে টাইটেল হিসেবে মালো ছাড়াও অঞ্চলভেদে নায়েক, রাজ, সরকার ব্যবহার করেন। এদের এক-একটি গ্রাম পরিচালিত হয় তিন সদস্যের পরিষদের মাধ্যমে। গ্রামপরিষদের পদগুলো নির্বাচন করা হয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, সকলের মতামতের ভিত্তিতে। মাছ ধরা এবং মাছ বিক্রয় করা মালোদের জাতিগত পেশা। |
||
|
সামাজিক আচার |
বাগদী- উৎসবের আমেজ মূলত: হেমন্ত ও শীতকালে। আমন ধান কাটার পরই বাগদী সমাজও আপন জাতিগত আচাররীতিতে টানটান হয়ে ওঠে। মালো- মালো সমাজে নবজাতক জন্মানোর ৭দিন পর নুয়া অনুষ্ঠান করা হয়। নুয়া অর্থ নাপিত। ওইদিন ডাকা হয় সামজের সবাইকে। নাপিত এসে কেটে দেয় সবার চুল-দাড়ি। নুয়া হওয়ার পরই পুরুষেরা নবজাতকের ঘরে প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়াও মালোরা বাচ্চা জন্মানোর ৫ অথবা ১২ দিন পর বরোহি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওইদিন কাটা হয় বাচ্চার চুল। এরপর সব কাপড়-চোপড় ধুয়েও শুদ্ধ করা হয়। মাটির জিনিস থাকলে ভেঙ্গে ফেলা হয় তাও। মালোদের বিশ্বাস এতে অশুচি দূর হয়ে যায়। বোরহির দিনই এরা নবজাতকের নাম রাখে এবং ওইদিন সবাই তার মুখ দর্শন করেন। |
|
|
উল্লেখযোগ্য উৎসব |
বাগদী- ঝাপান খেলা, ইন্দুরগাতি উৎসব মালো- বিশেষ কোন উৎসবের বিষয়ে জানা যায়নি। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস