ছাদ বাগান সৃজন ও স্থাপনের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিকের ড্রাম কেটে, স্টীলের ট্রে তৈরি করে, বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও শাকসবজি উৎপাদন করছে তারা। যা থেকে ৭/৮ জনের পরিবারের সবজির চাহিদা পূরন করা সম্ভব।
যে কোন মৌসুমে সবজি ও ফলমূল উৎপাদন করার সফলতা দেখে পরামর্শ গ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব আরশেদ আলী। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কৃষকদের এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনার দেওয়ার পরই অনেকেই নিজ উদ্যোগে বাসা বাড়ির ছাদে বাগান তৈরি করে নিজেদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই উপজেলার কৃষি অফিসারের নিজ উদ্যোগে পৌরসভার ১৫০ জন কৃষককে তালিকা করে তাদের মধ্যে খিছু সংখ্যক চাষিভাইদের মাঝে কুলের চারা, লাউয়ের বীজ, পালংশাকের বীজ ও লালশাক বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার জন্য ইতিমধ্যেই উপজেলা কৃষি অফিসে তৈরী করা হয়েছে ছাদ কৃষি বাগান। যেখানে ঢেঁড়স, পুঁইশাক, লালশাক, পালংশাক, মূলা, ওলকপি, বেগুন, শশা, মরিচ, বিলাতি ধনিয়া জাতীয় সবজির চাষ। এছাড়াও ফুল ও ফলের মধ্যে রয়েছে মাল্টা, আপেল কুল, আম, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, ড্রাগন ফল, আঙ্গুর ও গোলাপ, জবা, গাঁদা ফুলসহ কয়েক প্রকার ফুল ও বিভিন্ন প্রকার গাছ।
উপজেলার কৃষি দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছাদ কৃষি বাগান তৈরি করেছেন এমন কৃষকদের মধ্যে উপজেলার শিশুকলি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামত আলী ও ভূমি সহকারী সাইফুল ইসলাম জানান তারা ইতিমধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে নিজ বাসার ছাদে ছাদ কৃষি বাগান তৈরী করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস